ধনবাড়ী

ধনবাড়ীতে ভাবনা হসপিটালে ভুল অপারেশনে প্রাণ গেল দুই সন্তানের বাবার

ধনবাড়ী সংবাদ : টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে অপারেশনের সময় ভুল করে খাদ্যনালী কাটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
মৃত্যুর ঘটনায় রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী সড়কে লাশ রেখে ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। গতকাল রোববার দুপুর থেকে রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত পৌর শহরের চালাষ চৌরাস্তা কয়ড়া রোডে অবস্থিত হাসপাতালের সামনে এ অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন তারা। এতে রাস্তার দুই দিকে গাড়ি আটকে যানজটের সৃষ্টি হয়। নিহতের স্বজনরা জানান, রাতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বিচারের আশ্বাস দিলে লাশ দাফন করা হয়।
ভুল চিকিৎসায় মারা যাওয়া দুই সন্তানের জনক মিনহাজ উদ্দিন (৩৬) পৌর শহরের ছত্রপুর এলাকার সফর আলীর ছেলে। এ ঘটনার পর হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের লোকজন গাঢাকা দিয়েছেন।
নিহতের স্ত্রী আমিরন বেগম ও ছেলে আশিক হোসেন জানান, গত ১৯ মার্চ পেটে ব্যথা নিয়ে চৌরাস্তা রোডের ভাবনা হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে আসেন মিনহাজ। পরীক্ষানিরীক্ষা শেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, তার অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করতে হবে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের এক অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে রাতে রোগীকে অপারেশন করানো হবে।


তারা জানান, অপারেশনের পরদিন অবস্থা বেগতিক হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চলে আসে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তাকে ভুল অপারেশন করে খাদ্যনালী কেটে ফেলা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে তিনি মারা যান। পরে জানতে পারি মধুপুরের শরিফ হোসেন নামের এক এনেস্থিসিয়ানকে দিয়ে রোগীর অপারেশন করানো হয়। অপারেশনের সময় কোনো কাগজপত্রও দেয়নি। আমরা ওই ডাক্তার ও কর্তৃপক্ষের বিচার চাই।
হাসপাতালের মালিক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের দায়িত্বরতরা বলেন, ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে আসেননি তিনি।
এলাকাবাসী জানান, এর আগেও ভুল অপারেশনে হাসপাতালে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তখনও গাঢাকা দেয় মালিক পক্ষ।
পৌর মেয়র মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকলের কাছে এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাতে হাসপাতালের মালিক পক্ষ ওই পরিবারের সঙ্গে বসেছিল। ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাসে সমঝোতা হয় বলে জেনেছি। পরে লাশ দাফন হয়েছে।
ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. চাঁন মিয়া বলেন, বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার আইনি সহযোগিতা চাইলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button