ধনবাড়ী

ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী কিশোরী

ধনবাড়ীতে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার, ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা:

ধনবাড়ী সংবাদ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌর এলাকায় এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এতিম কিশোরীকে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই সন্তানের জনক আ. ছালাম (৪০) বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আ. ছালাম পৌর শহরের চরভাতকুড়া গ্রামের মৃত সফর আলীর ছেলে। ঘটনাটি মোটা আংকের টাকায় বিনিময়ে ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় মাতাব্বররা। পৌর শহরের চরভাতকুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে।
ভোক্তভূগী পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) ছালামের স্ত্রী-সন্তান বাড়িতে না থাকায় পাশের বাড়ির বাবা-মাহীন হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে টাকার লোভ দেখিয়ে ফুসলিয়ে ঘরে ডেকে নেয়। এ সময় ঘরের দরজা বন্ধ করে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে তাঁকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ওই কিশোরীকে হুমকী দেয়। পরবর্তীতে ওই কিশোরী তাঁর সাথে খারাপ আচরণের বিষয়টি তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশিদের জানায়। এদিকে ঘটনা প্রকাশ পেলে গতকাল রোববার শালিসী বৈঠকে স্থানীয় মাতাব্বর জামাল সরকার, আব্দুল করিম, লাভলু, আনোয়ার, আকবর, ইসমাইল, শাজাহান গংরা টাকার বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালায়। স্থানীয় কাউন্সিল নূর মুহাম্মদ জানান, ‘ওই প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাটি মিমাংশা যোগ্য নয় বিধায় আইনি ব্যবস্থ্যা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।’ ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক ও স্থানীয় মাতাব্বর লাভলু মিয়া বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে ঘটনা মিমাংশা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ এসে ওই প্রতিবন্ধী মেয়ে এবং তাঁর বোন ও বোন জামাইকে থানায় নিয়ে গেছে।’
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, ‘ একটা প্রতিবন্ধী মেয়েকে নানা রকম লোভলালসা দেখিয়ে পাশের বাড়ির দুই সন্তানের জনক আ. ছালাম ধর্ষণ করেছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আ. ছালাম আগে থেকেই চরিত্রহীন। তাঁর উপযুক্ত বিচার হওয়া দরকার।’
প্রতিবন্ধীর বোন জামাই জানান, ‘পাশের বাড়ির ছালাম মেয়েটির সাথে যা খারাপ আচরণ করেছে সে সবই আমাদের কাছে বলেছে। আমরা গরীব মানুষ বিচার চাই। থানায় অভিযোগ করেছি।’
এ ব্যাপারে ধনবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) ইদ্রিস হোসাইন বলেন, ‘ভোক্তভূগী ওই মেয়ে, তাঁর বোন ও বোন জামাইকে থানায় এনে মধুপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শাহিনা আক্তারের উপস্থিতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সম্পরকিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button