খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে বিএনপি শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, নির্বাচনই চায় না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘চোরাপথে কিছু করা যায় কি না, তারা সে চেষ্টায় রয়েছে।’
ভারত সফর শেষে রোববার সন্ধ্যায় সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে, বহু পুরোনো গণতন্ত্রের দেশেও এটি করা হয় না। অতীতে যাঁরা সফল, নিষ্ঠা, সততা ও বলিষ্ঠতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের নিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবী জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রস্তাব করেছিলেন এবং সেখান থেকেই কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম এসেছে। এ জন্য জাফরুল্লাহ চৌধুরী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমে দেখলাম, তিনি (জাফরুল্লাহ চৌধুরী) কেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম প্রস্তাব করেছেন সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।’ বিএনপিসহ সবাইকে নতুন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির বড় সমস্যা তারা মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করেছে। সন্ত্রাসী রাজনীতি করে বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রক্ষা করার জন্যই বিএনপির রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে।’
নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং এ ক্ষেত্রে সংবিধানের এক চুলও ব্যত্যয় হবে না বলে উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যমন্ত্রী তাঁর আসাম ও ত্রিপুরা সফর ফলপ্রসূ হয়েছে বলে দাবি করেন। বলেন, আসামের রাজ্যপাল এবং ত্রিপুরা ও আসামের মুখ্যমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে রেল, সড়ক, নৌ ও বিমানপথে যোগাযোগ এবং সাংস্কৃতিক উপাদান আদান-প্রদান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।